কক্সবাজার-দোহাজারী রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার বহুল প্রতিক্ষিত এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের আগে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সুধী সমাবেশে সারা দেশে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন
পাহাড়-নদী, সবুজ অরণ্য পেরিয়ে কক্সবাজারের ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশনে ট্রেন প্রবেশ করতেই অন্যরকম শিহরণ জাগাবে পর্যটকদের মনে। দেশের প্রথম আইকনিক এই রেলস্টেশনেই সাগরের ঘ্রাণ পাবেন ভ্রমণপিপাসুরা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় ভরপুর, অনন্য নির্মাণশৈলীতে গড়ে তোলা স্টেশনটি দেখলেই পর্যটকদের মন মজবে।
কক্সবাজারের সঙ্গে এবার মিতালি হলো রেলপথের। চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ, শিল্পায়ন, পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের রেলগাড়ি ছুটবে এ পথ ধরে। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি
দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার। বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক বালুকাময় সৈকত ছাড়াও আশপাশের বন-উপবন, খাল-নদী, ঝিরি-ঝরনা, বন্য প্রাণী ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ জেলা। এসব নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা ছুটে আসেন কক্সবাজারে। গত এক দশকে পর্যটক অনেক বাড়লেও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ছিল
অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী। ‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব।